খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
সম্পত্তির ওপর আদিবাসী নারীদের মালিকানার বিষয়টি পুরুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কেবল দান, উইলের মাধ্যমে সম্পত্তির মালিকানা লাভের বিষয়টি সংবিধানের সংরক্ষিত মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারের পরিপন্থী। ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী পরিবারে নারী সদস্যদের সম্পত্তির অধিকার প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। জেন্ডার ক্লাস্টার চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটি (ইউএনডিপি) ও চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস ওম্যান অর্গানাইজেশন নেটওয়ার্ক (সিএইচটি ওন) যৌথভাবে পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ১৪ সেপ্টেম্বর এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় ‘মানবাধিকার ও আদিবাসী নারী: প্রেক্ষিত পার্বত্য চট্টগ্রাম’ ও ‘পার্বত্য আদিবাসী নারীর উত্তরাধিকার বৈষম্য প্রথা-মৌলিক ও মানবাধিকার পরিপন্থী’ বিষয়ে প্রবন্ধ পড়েন মং সানু চৌধুরী ও প্রতিম রায়।
মং সানু চৌধুরী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমির মালিকানা প্রথা ব্রিটিশদের তৈরি। জুমচাষের কারণে আদিবাসীরা ঐতিহ্যগতভাবে তাদের ভূমির মালিকানার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি। ব্রিটিশরা রাজস্ব আদায়ের তাড়নায় বনভূমিকে রাষ্ট্রীয় সম্পদে পরিণত করে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমির মালিকানার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে। আদিবাসীদের সমাজব্যবস্থা পুরুষতান্ত্রিক হওয়ায় জমির মালিক করা হয়েছে পুরুষদের। এভাবেই নারীদের বঞ্চিত করে যে উত্তরাধিকার প্রথার সূচনা তা এখনো বিদ্যমান আছে।
প্রতিম রায় বলেন, আদিবাসীদের বিয়ে নিবন্ধন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর আইনগত ভিত্তি থাকা জরুরি। বিয়ের পক্ষে কোনো লিখিত দলিল না থাকায় পারিবারিক কোনো ঝামেলায় জড়ালে সে ক্ষেত্রে আদিবাসী নারীরা রাষ্ট্রীয় আইনের আনুকূল্য পান না। তাই সর্বজনীন বিধিবদ্ধ আইন প্রণয়ন প্রয়োজন। >more> http://www.prothom-alo.com/newsite1/detail/date/2009-09-27/news/7969
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment